Message from Institute Head
Engr. Md Harun-or-Rashid
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ক্ষুধা ও দারিদ্র মুক্ত স্বপ্নের স্বনির্ভর সোনার বাংলা গড়তে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিগত এক দশকের বেশি সময়ে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের বিস্ময়। আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল। জননেত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নবিলাসী নেতৃত্বে দারিদ্র্য বিমোচন, নারীর ক্ষমতায়ন, দুর্যোগ মোকাবেলায় সক্ষমতা অর্জন, শিশু-মাতৃ মৃত্যুর হার হ্রাস, গড় আয়ু বৃদ্ধি, মাথাপিচু আয় ১৯০৯ মার্কিন ডলারে উন্নীত, নিজস্ব অর্থায়নে বার্ষিক উন্নয়ন পরিকল্পনার ৯২ ভাগ বাস্তবায়ন, পদ্মাসেতুসহ একাধিক মেগাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন, স্মরনকালের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, তথ্যপ্রযুক্তির বৈপ্লবিক বিকাশ, বিদ্যুত খাতে অভূতপূর্ব উন্নয়ন, শিক্ষার হার বৃদ্ধি মোটকথা দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলার একমাত্র কারন কারিগরি শিক্ষার হার বৃদ্ধি। কারিগরি শিক্ষার হার বৃদ্ধির জন্য বর্তমান সরকারের নানামুখি পদক্ষেপের জন্য ভর্তির হার ১.৮০ থেকে বেড়ে ১৪ ভাগে উন্নিত হয়েছে যা ২০২০ সালে ২০ ভাগে ২০৩০ সালে ৩০ ভাগে এবং ২০৪০ সালে ৫০ ভাগে উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে। মোটকথা অর্জন ও সম্ভাবনার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের সামনে এখন বড় চ্যালেঞ্জ চতুর্থ শিল্প বিল্পবের প্রভাব মোকাবেলায় দেশের বিশাল জনগোষ্ঠিকে দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করা। দক্ষতা হচ্ছে অনুশীলনের মাধ্যমে অর্জিত জ্ঞানের স্থায়ী অবস্থা, যা জীবনের সমস্যা সমাধানে প্রয়োগ করার সামর্থ বা ক্ষমতা। শিক্ষা ও দক্ষতার সমন্বয়ে প্রণীত ডিপ্লোমা প্রকৌশল শিক্ষা কর্মসম্পৃক্ত বাস্তবমুখী ও ব্যবহারিক জ্ঞানভিত্তিক পাঠদান পদ্ধতি। এজন্যই বলা হয় ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার দেশগড়ার হাতিয়ার। উন্নত বিশ্বের দিকে তাকালে দেখতে পাই, যে দেশে কারিগরি শিক্ষার হার যতবেশি সে দেশ ততোবেশি উন্নত। তাই সম্মানীত অভিভাবকদেরকে বলবো সন্তান পাশ করলেই কলেজে পড়াবো এই চিন্তাভাবনা থেকে বের হয়ে আসুন। জিপিএ ৫ না পাওয়া সন্তানকে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষত করুন বেকার মুক্ত দেশ গড়ুন। ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারগন বাংলাদেশ সরকারের অধীনে সরাসরি ২য় শ্রেণী পদমর্যাদার কর্মকর্তা হিসাবে চাকুরিতে যোগদান করতে পারে। এছাড়া ও দেশে-বিদেশে বহু চাকুরির সুযোগ রয়েছে ।